۱۹ آبان ۱۴۰۳ |۷ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 9, 2024
খুলনায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিপ্লবের ৪৪তম বিজয় বার্ষিকী পালিত
খুলনায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিপ্লবের ৪৪তম বিজয় বার্ষিকী পালিত

হাওজা / আহলে বাইত ফাউন্ডেশন ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিপ্লবের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ০৮ ফের্রুয়ারী’২০২৩ বেলা ১০-৩০ ঘটিকায় খুলনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, খুলনাস্থ আহলে বাইত ফাউন্ডেশন ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিপ্লবের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ০৮ ফের্রুয়ারী’২০২৩ বেলা ১০-৩০ ঘটিকায় খুলনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আহলে বাইত ফাউন্ডেশনের সভাপতি হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলীল রাজাভী’র সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব এমডিএ বাবুল রানা ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জনাব এসএম নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আইনজীবী এ্যাড. ড. মোঃ জাকির হোসেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কর্মসূচী শুরু হয়। স্বাগতঃ বক্তব্য রাখেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষা বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম মোঃ আলী মোর্ত্তজা। তিনি ইরানের বিপ্লবের পটভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বিশ্বে ঘটমান অন্যান্য বিপ্লব স্থায়ীত্ব লাভ না করার মূল কারণ ছিল সেখানে আদর্শিক কোন উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু ইসলামী বিপ্লব শত প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়েও আজও টিকে আছে তার কারণ এর পেছনে মহান ইসলামী আদর্শ সক্রিয়। তিনি তার বক্তব্যে ইসলামী বিপ্লবের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি আলহাজ্ব আব্দুল খালেক তালুকদার তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেন, জুলুমের মাধ্যমে পরিচালিত কোন সরকার টিকতে পারে না, আর সেকারণেই ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্র ইমাম খোমেনী আহুত গণবিপ্লবের মাধ্যমে উৎখাত হয় এবং ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় যা আজ ৪৪ বছর অতিক্রান্ত করেছে। ইসলামী বিপ্লব থেকে আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষণীয় আছে।

বিশেষ অতিথি এমডিএ বাবুল রানা তার বক্তব্যে বলেন, ইরানের এ বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনীর বিরুদ্ধে কিছু বলার ধৃষ্টতা দেখিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার সুযোগ কেউ নেয়নি। কিন্তু আমরা এমন এক জাতি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের সাড়ে তিন বছর অতিক্রান্ত না হতেই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয় এবং স্বাধীনতাবিরোধীরা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং জাতিকে বিভক্ত করতে আজও সক্রিয় আছে।

মূখ্য আলোচক হিসেবে এ্যাড. ড. মোঃ জাকির হোসেন তার দীর্ঘ বক্তৃতায় বলেন যে, আমরা কেন ইরানের ইসলামী বিপ্লব সম্পর্কে আলোচনা সভার আয়োজন করেছি? এর বৈধতা কোথায়? তিনি বলেন আমরা এ কারণেই আলোচনা করব যে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং সমাজ ও রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় পারস্যের প্রভাব এ দেশে আবহমান কাল থেকে চলে আসছে এবং সর্বোপরি ইসলামী আদর্শে আমরা একে অপরের সাথে সংযুক্ত। আমরা যদি রুশবিপ্লব, ফরাসী বিপ্লব কম্যুনিষ্ট বিপ্লব নিয়ে আলোচনা করতে পারি তাহলে ইসলামী বিপ্লবকে নিয়ে কেন আলোচনা করতে পারব না? তিনি বিপ্লবের পটভূমিকা এবং বিপ্লবোত্তর ইরানের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।

সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আহলে বাইত ফাউন্ডেশন ইসলামী ইরানের ৪৪তম বিপ্লব বার্ষিকী এজন্য পালন করছে যে, ইমাম খোমেনী (রহ.) এর নেতৃত্বে যে বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেটি ছিল প্রকৃত ইসলামের কান্ডারী। যে ইসলাম শান্তিকামী ইসলাম এবং বিশ্বের মজলুম ও নির্যাতিত মানুষের সাহায্যকারী ইসলাম। অথচ সাম্প্রতিককালে শান্তির ধর্ম ইসলামকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের প্রবর্তক হিসেবে পাশ্চাত্যের সহায়তায় তথাকথিত মুসলমানরা ইসলামের নামে পবিত্র ধর্মকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।

সভাপতি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং উপস্থিত সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সামগ্রিকভাবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আহলে বাইত ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ ইকবাল।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .